প্রকাশিত: ৩০/০১/২০১৮ ৭:৪৭ এএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ৭:২৪ এএম

ফারুক আহমদ, উখিয়া নিউজ ডটকম::

উখিয়ার রুহুল্লারডেবা গ্রামে জমি লীজ দিয়ে প্রতারণার শিকার হয়েছে স্থানীয় গ্রামবাসীরা। চট্টগ্রামের এক প্রভাবশালী ব্যক্তি মৎস্য ঘের করার কথা বলে বিভিন্ন জন থেকে ধানী জমি লীজ নেয়। চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও লাগিয়তের টাকা পরিশোধ করছে না পাশাপাশি জমিও ফেরত দিচ্ছে না এমন অভিযোগ ভুক্তভোগী ফরিয়াদির। এ নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের মাঝে নানা অসন্তোষ ও ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। প্রভাবশালী ব্যক্তির নিকট হতে জমি মুক্ত করে দেওয়ার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে।

জানা যায় চট্টগ্রাম শহরের মুরাদপুর এলাকার বাসিন্দা শাহ মুরাদ নামক এক প্রভাবশালী ব্যক্তি রতœা পালং গ্রাম থেকে বিবাহ করে। আত্মীয়তার পরিচয়ের সুবাদে তিনি উপজেলার রুহুল্লারডেবা সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে বিপুল পরিমান জমি ক্রয় করে। অভিযোগে প্রকাশ মৎস্য চাষের কথা বলে রুহুল্লারডেবা গ্রামের সাহাব উদ্দিন কন্ট্রাক্টর, হাজী জলিল আহমেদ বান্টু, আব্বাস উদ্দিন চেয়ারম্যান, জানে আলম, রশিদ আহমদ সহ কয়েকজন ব্যক্তি থেকে প্রায় ৬ একরের অধিক জমি বিভিন্ন মেয়াদে লীজ নেয় তিনি। স্থানীয়রা সহজ-সরল বিশ্বাসে তাদের সহায় সম্পত্তি প্রভাবশালী শাহ মুরাদকে লীজের মাধ্যমে হস্তান্তর করেন।

সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, বিভিন্ন জন থেকে লীজ নেওয়া অসংখ্য জমি মৎস্য চাষ করার জন্য মাটি কেটে ঘের তৈরী করে । প্রথম দিকে যথারীতি মৎস্য চাষ করলেও বর্তমানে ঘের গুলো পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। বর্তমানে উক্ত জায়গায় কোন মৎস্য চাষের অস্থিত্ব নেই বললেও চলে। এক সময় তিনি রুহুল্লারডেবা গ্রামে আসা যাওয়া করলেও বর্তমানে তিনি চট্টগ্রামে রয়েছেন।

সাহাব উদ্দিন কন্ট্রাক্টর জানান, মৎস্য চাষের কথা বলে শাহ মুরাদ নামক প্রভাবশালী ব্যক্তি আমার কাছ থেকে সাড়ে ৩ কানি জমি লীজ নেয়। ২০১৭ সালে উক্ত লীজের মেয়াদ শেষ হয়েছে। কিন্তু উক্ত লীজ গ্রহীতা কয়েক বছর ধরে লীজের টাকাও পরিশোধ করেনি। জমি ফেরৎ চাইলে নানা তালবাহানা দেখিয়ে হয়রানি করছে। আমি ইতিমধ্যে তার বিরুদ্ধে আইনগত নোটিশও প্রেরণ করেছি। কিন্তু এর কোন জবাব দেয় নি। তিনি জমি ফেরৎ না দেওয়ায় আমি অর্থনৈতিকভাবে ভীষম ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি। রতœা পালং গ্রারেম হাজী আব্দুল জলিল বান্টু একই অভিযোগ করে বলেছে, শাহ মুরাদকে আমরা জমি লীজ দিয়ে প্রতারনার শিকার হয়েছি। এমনকি চট্টগ্রাম থেকে তিনি এখন আমাদের গ্রামেও আসে না। ভুক্তভোগী জানে আলম জানান, মৎস্য চাষের কথা বলে আমাদের কাছ থেকে জমি লীজ নিয়ে ঘের তৈরী করেছে। কিন্তু শাহ মুরাদ বর্তমানে মৎস্য চাষও করছে না, জমিও ফেরৎ দিচ্ছে না। যোগাযোগ করলে বিভিন্ন বাহানার কথা বলে কালক্ষেপন করে। গ্রামবাসীরা জানান, রুহুল্লারডেবা বায়তুশ শরফ মসজিদের জায়গা নিয়েও এই প্রভাবশালী শাহ মুরাদ বিভিন্ন তালবাহানা শুরু করেছে। এ নিয়ে এলাকায় সাধারণ জনগণ ও ধর্ম প্রিয় মানুষের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।

প্রভাবশালী ব্যক্তির কবল হতে লীজ দেওয়া জমি জবর দখল মুক্ত করার জন্য জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগীরা।

পাঠকের মতামত

অনিশ্চয়তার মুখে ৪ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা শিশুর শিক্ষাজীবন

কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে আর্থিক সংকটে প্রায় ৬ হাজার ৪০০ এনজিও-পরিচালিত অনানুষ্ঠানিক স্কুলে ক্লাস নেওয়া বন্ধ ...

৮ বছরে পা হারিয়েছে ৪৪, নিহত ৫বিপদ জেনেও মাইন পুতে রাখা জায়গায় যাচ্ছে সীমান্তের লোকজন

ওমর ফারুক হিরু :: মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী এলাকা বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি পয়েন্টে প্রায়ই ঘটছে মাইন বিস্ফোরনের ঘটনা। ...

রামুতে ইয়াবাসহ নারী আটক

কক্সবাজারের রামুতে চেকপোস্টে অভিযান চালিয়ে ১০ হাজার ২০০ ইয়াবাসহ এক রোহিঙ্গা নারীকে আটক করেছে বর্ডার ...